দৃশ্য ১— গঙ্গার পাড়ের এই জায়গাটা বিকেলবেলায় বেশ ফাঁকা থাকে৷ সেইজন্য দিপুর কাছে প্রেম করার জন্য এটাই আদর্শ জায়গা৷ আজ ও দিপু আর অরুণিমা নদীর একটু দূরে মাঠটার ধারে বসেছিল৷ হঠাৎ কোত্থেকে তিনটে ছেলে অন্ধকার ফুঁড়ে উদয় হল, দিপুর মাথায় ভারী কিছু একটা দিয়ে অজ্ঞান করে দিয়ে অরুণিমাকে তুলে নিয়ে গেল৷
দৃশ্য২— অরুণিমা:— ' দিপু ছেলেটা ভালো, কিন্তু কেরাণীর চাকরীটা পাওয়ার পর থেকে বিয়ে করার জন্য ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে৷ এদিকে বাবার আমার জন্য সেন আঙ্কল এর ছেলে গৌরবকে পছন্দ৷ গৌরব আগের ইয়ারেই আই আই টি থেকে পাশ করেছে৷ আর সেন আঙ্কল এর ও বিশাল ব্যবসা৷ কি-যে করি!দিপুকে বললে ও এমন সিন ক্রিয়েট করবে আমার কিম্বা গৌরবের বাড়ি গিয়ে যে সব ভেস্তে যাবে৷ গান্ডুটা স্যালারি পায় মোটে পনেরো হাজার৷ ধুস্! মাথাটা ধরে গেল৷
দৃশ্য ৩— জ্ঞান ফিরলে দিপু দেখল অরু পাশে নেই৷ মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে যন্ত্রনায়৷ টলতে টলতে উঠে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে এগিয়ে গেল ও৷ মনসা ঝোপটার পাশে অরুর ওড়নাটা পড়ে আছে৷ সন্ধের আবছা আলোতেও বিচ্ছিরি একটা অ্যাঙ্গেলে পড়ে থাকা ওর শরীরটা চিনতে পারল সে৷ সারা গায়ে রক্ত লেগে৷ মাথার বাঁ পাশ থেকে একটা রক্তের ধারা অনেকটা গিয়ে শুকিয়ে এসেছে৷ মাথাটা এখনও দপ্ দপ্ করছে দিপুর৷ তার মধ্যেও ওর ভাবতে সময় লাগল না৷ এগিয়ে গেল নদীর দিকে৷ তারপর একটা শব্দ, ঝুপ্ ! গঙ্গা আবার নিঃশব্দে বইতে লাগল৷
দৃশ্য ৪— দিপুর শরীরটা নদীতে মিলিয়ে যাবার পর অরুণিমা উঠে বসল৷ তারপর নদীর থেকে জল নিয়ে গায়ে লেগে থাকা টম্যাটো সস্ আর আলতার মিশ্রণটা তুলতে লাগল৷ অরুণিমা জানে যে দিপু সাঁতার জানে না৷ এই ছোট্ট নাটকটা তাকে করতেই হত৷ দিপু তাকে কখনোই ছাড়ত না৷ আর যতই হোক দিপু কোনোদিনই গৌরব এর নখের যোগ্য হতে পারত না৷
দৃশ্য২— অরুণিমা:— ' দিপু ছেলেটা ভালো, কিন্তু কেরাণীর চাকরীটা পাওয়ার পর থেকে বিয়ে করার জন্য ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে৷ এদিকে বাবার আমার জন্য সেন আঙ্কল এর ছেলে গৌরবকে পছন্দ৷ গৌরব আগের ইয়ারেই আই আই টি থেকে পাশ করেছে৷ আর সেন আঙ্কল এর ও বিশাল ব্যবসা৷ কি-যে করি!দিপুকে বললে ও এমন সিন ক্রিয়েট করবে আমার কিম্বা গৌরবের বাড়ি গিয়ে যে সব ভেস্তে যাবে৷ গান্ডুটা স্যালারি পায় মোটে পনেরো হাজার৷ ধুস্! মাথাটা ধরে গেল৷
দৃশ্য ৩— জ্ঞান ফিরলে দিপু দেখল অরু পাশে নেই৷ মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে যন্ত্রনায়৷ টলতে টলতে উঠে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে এগিয়ে গেল ও৷ মনসা ঝোপটার পাশে অরুর ওড়নাটা পড়ে আছে৷ সন্ধের আবছা আলোতেও বিচ্ছিরি একটা অ্যাঙ্গেলে পড়ে থাকা ওর শরীরটা চিনতে পারল সে৷ সারা গায়ে রক্ত লেগে৷ মাথার বাঁ পাশ থেকে একটা রক্তের ধারা অনেকটা গিয়ে শুকিয়ে এসেছে৷ মাথাটা এখনও দপ্ দপ্ করছে দিপুর৷ তার মধ্যেও ওর ভাবতে সময় লাগল না৷ এগিয়ে গেল নদীর দিকে৷ তারপর একটা শব্দ, ঝুপ্ ! গঙ্গা আবার নিঃশব্দে বইতে লাগল৷
দৃশ্য ৪— দিপুর শরীরটা নদীতে মিলিয়ে যাবার পর অরুণিমা উঠে বসল৷ তারপর নদীর থেকে জল নিয়ে গায়ে লেগে থাকা টম্যাটো সস্ আর আলতার মিশ্রণটা তুলতে লাগল৷ অরুণিমা জানে যে দিপু সাঁতার জানে না৷ এই ছোট্ট নাটকটা তাকে করতেই হত৷ দিপু তাকে কখনোই ছাড়ত না৷ আর যতই হোক দিপু কোনোদিনই গৌরব এর নখের যোগ্য হতে পারত না৷